ঢাকা: কার্নেট সুবিধায় গাড়ি নিয়ে লুকোচুরির পর আলোচিত মডেল মুন এবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের তলবি চিঠি নিয়ে লুকোচুরি শুরু করেছেন। ১২ এপ্রিল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর থেকে মুনের ঠিকানায় (হাউজ-১০, রোড-৩৩, গুলশান-১) ঠিকানায় জিপি করে চিঠি পাঠানো হয়।
গাড়ির মালিকানা বিষয়ে বক্তব্যে জানতে ডা. জাকিয়া মুন ও তার স্বামী ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিনকে সোমবার (১৮ এপ্রিল) ৩টায় অধিদফতরে তলব করা হয়। মুনের ঠিকানায় চিঠি গেলেও তিনি তা গ্রহণ করেনি। সে চিঠি সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে ফেরত আসে। বলা হয় প্রাপক ঠিকানা বদল করেছে।
সোমবার শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর থেকে আরো একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় আবারো তাকে তলব করা হয়েছে। মঙ্গলবার মুন ও তার স্বামী না আসলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে।
অভিযোগ থেকে বাঁচতে এর আগে ১৩ এপ্রিল মুন আদালতে গেলেও আদালত তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন। এছাড়া অভিযোগ থেকে বাঁচতে তিনি নানা কৌশলও নিচ্ছেন। সূত্র জানায়, ডাক যোগে বাসায় চিঠি গেলেও মুন গ্রহণ করেননি। উল্টো বাসার দারোয়ানকে কোন চিঠি গ্রহণ না করতে বলে দেন।
মঙ্গলবার চিঠি ফেরত আসার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা বাসার দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলেন। দারোয়ান বলেছেন,‘ ম্যাডাম কোনো চিঠি রিসিভ করতে নিষেধ করেছেন।’
সাক্ষীদের মুনকে হাজির করতে তাগাদা দেন। পরে কর্মকর্তা মুনের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্বিতীয় দফায় তলবি চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আসতে অনুরোধও করেন। শুল্ক গোয়েন্দার একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, চিঠি নিয়ে খেলা শুরু করেছে মুন ও তার স্বামী। মঙ্গলবার হাজির না হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কার্নেট সুবিধায় (শুল্ক সুবিধা) আমদানি করা প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাসবহুল পোরশে জিপ ব্যবহার করে আসছেন এ অভিনেত্রী। ৬ এপ্রিল শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মুনের বাসার নিচের গ্যারেজ থেকে জিপটি জব্দ করেন। এ সময় মুন কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
গাড়ির মালিক প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান ও মুনের স্বামী মহসিন। মুন গাড়িটি ব্যবহার করতেন। গাড়িটি কার্নেট সুবিধায় আমদানি করা হলেও ফেরত পাঠানো হয়নি। এ বিষয়ে মুনের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬